নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে ঈদের আগেই শেষ হলো ওয়ারীর লকডাউন। বাসাবাড়ি থেকে রাস্তায় বের হয়েছেন বাসিন্দারা। খুলেছে চায়ের দোকান, রয়েছে মোড়ে মোড়ে জটলা। এলাকাবাসী মনে করছেন, স্বাভাবিক হয়েছে সবকিছু। তাই মনের আনন্দে ঘোরাফেরা করছেন তারা। শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে ওয়ারী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি রাস্তার মোড়ে রয়েছে রিকশাচালকদের ভিড়, ভ্যানে করে সবজি বিক্রি শুরু করেছেন বিক্রেতারা, রয়েছে হকারদের হাঁকডাক, এলাকার দোকানিরা দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে, খুলেছে এলাকার ছোট ছোট চায়ের দোকানও। সবমিলিয়ে আগের রূপে ফিরে এসেছে ওয়ারী।
২১ দিন লকডাউন থাকার পর আজ কেমন মনে হচ্ছে–এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই এলাকার বাসিন্দা আরাফাত বলেন, সকাল থেকে সবকিছু আগের মতোই হয়ে গেছে। এখন মুক্ত মনে হচ্ছে। তবে লকডাউন কতটা কার্যকর হয়েছে সেটা বলতে পারছি না।’ আরেক বাসিন্দা ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, ‘২১ দিন এলাকা থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। সামনে ঈদ চলে এসেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে যাচ্ছি। লকডাউন চলাকালে আয়-রোজগার ছিল না। ভালোর জন্য লকডাউন দিলেও আজ থেকে তো আবার স্বাভাবিক। সংক্রমণ তো এখন থেকে বাড়তে পারে।
২১ দিন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকা দোকানিরা। দোকানে থাকা সব পচলশীল খাদ্যই পচে গেছে। বাসা বেঁধেছে ইঁদুর। নষ্ট করেছে দোকানের অন্যান্য মালামাল। তাই এগুলো পরিষ্কার করতে শুক্রবরা রাত থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, সামনে ঈদ কোনও ব্যবসা হয়নি। সবমিলিয়ে অনেকটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, একমাস দোকান বন্ধ ছিল। সামনে ঈদ আসছে। দোকানের তেমন কোনও মালামাল নেই, বেচাবিক্রি নেই। নতুন মাল উঠাতে পারিনি। এখন সাত দিনের বেচা-বিক্রিতে কী আর ঈদের খরচ উঠবে?
লকডাউন ওয়ারীর জন্য কতটুকু কার্যকর হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই এলাকার কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো বলেন, ২১ দিনের লকডাউনে এলাকার জনগণ আমাদের সহযোগিতা করেছে। করোনার সংক্রমণের হার এখন কমে যাবে। কারণ আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি কারা কারা আক্রান্ত আছে। এর মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়েছে। কোরবানির ঈদ পর্যন্ত এলাকাবাসীর জন্য বিনামূল্যে করোনা টেস্টের সুবিধা এখনও রয়েছে। খোলা রয়েছে বুথ।